• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba Bardhaman,

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

রাসবিহারী ঘোষের জন্মভিটে সংরক্ষণ ও সংস্কারের লক্ষ্যে তাঁর পৈতৃক জমি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর

বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কার্যালয়ের বিবেকানন্দ মিটিং হলে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্যার রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এক ঐতিহাসিক জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।স্বাধীনতা সংগ্রামী, আইনজ্ঞ, সমাজসংস্কারক স্যার রাসবিহারী ঘোষের পৈতৃক জমি আনুষ্ঠানিকভাবে পুর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করা হল। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিবেকানন্দ মিটিং হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্যার রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটি জমিটি জেলাশাসক ও কালেক্টরের হাতে তুলে দেন।পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক শ্রীমতী আয়েশা রানি এ., আইএএস এদিন বলেন এই জমি কেবল একটি সম্পত্তি নয়, এটি জাতি গঠনের এক জীবন্ত প্রতীক। আজকের এই হস্তান্তরের মাধ্যমে স্যার রাসবিহারী ঘোষের আদর্শ ও মূল্যবোধ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক পঞ্চানন দত্ত ও সদস্যগণ। তাঁরা রাসবিহারী ঘোষের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা, শিক্ষার প্রসার ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সুপার শ্রী সায়ক দাস (আই পি এস), পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পর্যটন) শ্রী প্রতীক সিং আইএএস, বর্ধমান সদর দক্ষিণ-র মহকুমাশাসক শ্রী বুদ্ধদেব পান (ডাব্লু বি সি এস, এক্সি) ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক শ্রী মিলন তীর্থ সামন্ত (ডাব্লু বি সি এস, এক্সি)।স্যার রাসবিহারী ঘোষ একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। তাঁর জন্ম খণ্ডঘোষের তোরকোনা গ্রামে। অল্প বয়সেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে ১৯০৭ সালে সুরাট অধিবেশনে তিনি কংগ্রেস পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি।শুধু রাজনীতি নয়, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণেও তাঁর অবদান অনন্য। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি লক্ষাধিক টাকা দান করেছিলেন, যাতে আগামী প্রজন্ম জ্ঞান ও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে। তাঁর জীবন তাই কেবল একজন আইনজ্ঞের কৃতিত্বে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এক দেশপ্রেমিক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসংস্কারকের অমলিন উত্তরাধিকার হয়ে আজও সমুজ্জ্বল।ইতিহাসবিদদের মতে, স্যার রাসবিহারী ঘোষ ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯০৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। আইনজীবী হিসেবে তাঁর মেধা ও শিক্ষা প্রসারে তাঁর অসামান্য ভূমিকা তাঁকে ভারতবর্ষের ইতিহাসে অনন্য আসন দিয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা, হস্তান্তরিত জমিটি ব্যবহার করা হবে স্যার রাসবিহারী ঘোষের জন্মভিটে সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জমিটিকে ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এই অনুষ্ঠান কেবল একটি জমি হস্তান্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান ও ঐতিহ্য রক্ষার এক প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্ধমান তথা সমগ্র বাংলার সাংস্কৃতিক মানচিত্রে এ উদ্যোগ নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

জাতীয় সড়কে উড়ালপুলের দাবিতে রোড অবরোধ, নবানহাটে জনজোয়ার

আজ সকাল ৮টা থেকে পূর্ব বর্ধমানের মেটেল, নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক রোড অবরোধ শুরু হয়েছে। মূল দাবিঅতি দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের যানজট ও দুর্ঘটনার সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও গৃহীত হয়নি।সকাল থেকেই প্রায় ৩,০০০-র বেশি মানুষ জাতীয় সড়কের উপর জড়ো হয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উড়ালপুল চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাইএই দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন স্কুল, অফিস যেতে গিয়ে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। উড়ালপুল না হলে ভবিষ্যতে আর বড় ক্ষতি হবে। এই অবরোধে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী যগদান করেছে, জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তেই হাজার হাজার লড়ি বাস প্রাইভেট কার আটকে আছে। দূর্ভোগের চূড়ান্ত অবস্থা।অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কের দুদিকেই শতাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান আদালতের মহিলা আইনজীবীকে মারধরে অভিযুক্ত গ্রেফতার, পুলিশ পরিচয় কেন দিয়েছিল?

বর্ধমান আদালতে বুধবার আইনজীবীরা কর্মবিরতি করে। তাঁদের দাবি ছিল, মহিলা আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার জন্য় ৭২ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব। অবশেষে এদিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযোগ, শুধু মহিলা আইনজীবীকে মারধর নয়, তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে ওই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রোহিত দাস ওরফে রাজীব। বর্ধমান থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে শক্তিগড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত রোহিতকে গ্রেপ্তার করে। শক্তিগড় থানার অন্তর্গত গাংপুর দিঘিরপাড় এলাকায় ধৃতের বাড়ি। ধৃতের ভাই হাওড়া জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। রোহিতের ব্যবহার করা মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করলে বিচারক তাকে ৩ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ধমান থানাও এই ঘটনায় ওই মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের বক্তব্য়, দুই তরফ থেকেই অভিযোগ হয়েছিল। তাই প্রথমিক পর্যায়ে একটু খতিয়ে দেখতে হয়েছে।মহিলা আইনজীবীর পেটের সন্তান লাথি মেরে নষ্ট করে দিয়েছে অভিযুক্ত, এই অভিযোগ সামনে আসতে চারিদিকে ছিঃছিঃ রব ওঠে। সমস্ত ক্ষেত্র থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। সরাসরি আন্দোলনে নেমে পড়ে বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

পুলিশ পরিচয়ে পেটে লাথি, মারধর, অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীর গর্ভপাত, বর্ধমানের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা

বর্ধমান আদালতের এক অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মারধর করা ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তারপর বর্ধমান থানা তখন অভিযোগ তো নেয়নি, বরং ওই মহিলা আইনজীবীকে বারে বারে ফিরিয়ে দিয়েছে। মারধরের ফলে অন্তঃসত্ত্বা আইনীজীবীর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি পুলিশে অভিযোগ হয়নি বলে। বর্ধমান শহরের এই ঘটনায় তোলপাড় সারা বাংলা। বর্ধমান শহরে বিগবাজারের কাছে জেলখানা মোড়ে স্বামীর বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন ওই আইনজীবী। পথে অপরদিক থেকে আসা একটা বাইকে জোরে চালানোয় ধাক্কা লাগে। তখন ওই মহিলা আইনজীবী আস্তে চালানোর জন্য় অপর বাইক চালককে অনুরোধ করে। এই নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরই নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। তাঁর পেটে লাথি মারে বলে অভিযোগ। এরফলে তাঁর গর্ভপাত হয়। ব্যাপক ব্লিডিং হয়। তারপর সেখান থেকে থানায় গেলে থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার বলে ওই আইনজীবী দাবি করে। এদিকে অভিযোগ না নিয়ে মহিলা আইনজীবীকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারে বর্ধমান থানা। আবার হাসপাতালও পুলিসের কাছ থেকে লিখিত কিছু না পেলে চিকিৎসা করবে না বলে আইনজীবীকে ফিরিয়ে দেয়। ফের তিনি থানায় আসে। দোলে অফিসার কম আছে বলে ফের তাঁকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তারপর বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ, বুধবার আদালতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। সিদ্ধান্তের কথা তাঁদের পক্ষ থেকে জেলা জজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।জেলা জজকে লেখা চিঠিতে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানিয়েছেন, বারের এক মহিলা সদস্যার উপর গত ১৫ মার্চ হামলা চালানো হয়। তাঁকে এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। মারধরে জড়িতের এক আত্মীয় পুলিস অফিসার। সে কারণে বর্ধমান থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নানাভাবে থানা মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে। এমনকি তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। মারধরের ফলে মহিলা আইনজীবীর গর্ভপাত হয়ে যায়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা বুধবার কোনও কাজ করবেন না। বিচার প্রক্রিয়াতেও অংশ নেবেন না।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

কালনায় হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে বিপর্যয়, মৃত্যু ২ শ্রমিকের

হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ভবানন্দপুরের একটি হিমঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন সজল কুমার ঘোষ (৫৯) এবং শ্রাবণ প্রসাদ (৪৫)। সজলবাবুর বাড়ি কালনায় হলেও দ্বিতীয় জন বিহারের বাসিন্দা। এদিনই মৃত দুজনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ ও দমকল বিভাগ হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু পাশাপাশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের দাপটে হিমঘরের ১ শ্রমিক সহ ২ গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন। সেই খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ছাড়াও পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গ্যাসের প্রভাব যাতে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে না পড়ে তাই তা এদিন ঘটনাস্থল এলাকার স্কুল ও কলেজে বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, এদিন সকালে ভবানন্দপুর গ্রামে থাকা হিমঘরের ভিতর বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে যায়। তার পরেই সেখান থেকে সাদা ধোঁয়ার আকারে প্রচুর গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। চারপাশ সাদা ধোঁয়ায় ভরে যেতে শুরু করে। ওই অবস্থার মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চারটি ইঞ্জিন সহ দমকলবাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্তলে পৌছায়। তাঁরা মুখে মাস্ক পড়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। হিমঘরের আহত এক কর্মী বুদ্ধদেব প্রামাণিককে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বাঁচতে উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে তিনি পায়ে গুরুতর চোট পান। বুদ্ধদেব প্রামাণিক বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার সময় হিমঘরের মেশিনঘর ও বাইরে সাতজন শ্রমিক ছিল। এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস হিমঘরের কাছে পিঠে থাকা ঘোষপাড়ায়, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের চোখমুখ জ্বালা করতে থাকে। ভয় পেয়ে অনেকেই চোখ মুখ কাপড়ে ও মাস্ক ঢেকে ফেলেন। সকালে জমিতে কাজ করতে থাকা কৃষক সহ স্থানীয়দের অনেকেই বিকট আওয়াজের আতঙ্কে জমির আল ধরে ছুটতে শুরু করেন। গ্যাসের ঝাঁঝে প্রিয়াংকা মণ্ডল নামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও মিঠু বাগ নামের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর গ্রামে আসা মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। প্রিয়াংকাকে পাঠানো হয় কালনা হাসপাতালে। স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় ঘুরে স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার ফরেন্সিক তদন্ত হবে। ফরেন্সিক টিম চাওয়া হয়েছে। এদিন ব্যারাকপুর ও দুর্গাপুর থেকে ডিজাস্টারের দুটি এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ংকর বিস্ফোরণ কেতুগ্রামে, উড়লো ছাদ - ভাঙলো ইটের দেওয়াল

গুলি, বিষ্ফোরণের পালা চলছে। এবার ভয়ংকর বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চেঁচুড়া গ্রামে। বিস্ফোরণে উড়ে গেল পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ। গুড়িয়ে গিয়েছে শৌচাগারের ইটের দেওয়ালের একাংশ। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চেঁচুড়া গ্রামে। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আই সি ও কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কিশিনাথ মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেউ গোপনে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারে প্রচুর বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করে রেখেছিল। কারা কি উদ্দেশ্যে পরিত্যক্ত ওই শৌচাগার শক্তিশালী বোমা মজুত রেখেছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে । উল্লেখ্য, দুদিন আগে কল্যাণীতে বেআইনি বাজির কারখানায় বিষ্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ির শৌচাগারে এদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেউ থাকেন না। বাড়ির মালিকরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে একবার তাঁরা আসেন। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বর্ডার সংলগ্ন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত কেপে উঠেছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে তটস্থ ঘুম ছুটেছে চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের।বিগত লোকসভা ভোটের আগের রাতেই বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতি হামলায় খুন হন চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ। বোমা মেরে ও কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় মিন্টুর এক সঙ্গী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিল। আজও ওই খুনের হামলাকারী দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। সেই আতঙ্ক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেঁচুড়ি গ্রামবাসী। তারই মাঝে ভয়ংকর বিস্ফোরণে একটা পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনায় সিঁদূরে মেঘ দেখছে গ্রামবাসীরা।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) কাশিনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বাড়ির শৌচাগারে বিস্ফোরণ ঘটেছে ওটি পোড়ো বাড়ি। ১৫-১৬ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। আমারা সুয়োমোটো মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানের জঙ্গলমহলে নেকড়ের হানা, পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী

রাজ্যের পশ্চিমের জঙ্গলমহেল বাঘের আতঙ্কে মানুষ সিঁটিয়ে আছে। ঠিক তখন পূর্ব বর্ধমানে হেরোলের আক্রমণে দখম হয়েছে প্রায় ১৫ জন গ্রামবাসী। তবে ইতিমধ্যে ওই হেরোলটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। জনরোষ আছড়ে পডল বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীটির ওপর।পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে হিংস্র হেরোল- বেশ কয়েকজনকে কামড়ে দেয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়ায় আশেপাশে গ্রামেও। শেষমেশ উত্তেজিত জনতা ওই বন্য প্রাণীটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে ক্রমাগত গ্রামে গ্রামে হেরোলের হানা চলছিল। ছোট ছোট গবাদি প্রাণীদের রক্ষার জন্য সচেষ্ট হলেই ওই হেরোল আক্রমণ করত। তাতেই জখম হত সাধারণ গ্রামবাসী।হেরোলের আসল নাম ইন্ডিয়ান গ্রে উলফ। ভারতীয় উপমহাদেশে এর দেখা পাওয়া যায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর ধরে হেরোলের সংখ্যা বেড়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কাঁকসা, আউশগ্রাম ও জেলার বিভিন্ন ছোট ছোট জঙ্গলে এদের বসবাস। সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে এদের খাবারেও অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই লোকালয়ে হানা দিয়ে ছাগল, মুরগি শিকারের চেষ্টা করছে তারা। যার জন্য বাড়ছে মানুষের সঙ্গে সংঘাত।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

"আরজিকরে কি হয়েছে জানেন তো?", ভাতারে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার সিভিক ভলেন্টিয়ার

আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড়। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। তারই মাঝে এবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনায় আরেক হুমকির ঘটনা। অভিযোগ, হাসপাতালের কর্তব্যরত এক মহিলা ডাক্তারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ অবস্থায় থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়ায় ভাতার হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। ভাতার থানায় চলে বিক্ষোভ। দাবি করা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তারের। তাতে জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূবর্ণ গোস্বামী, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক এবং মহিলা চিকিৎসকও বিক্ষোভে সামিল ছিলেন। এর পরেই অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান,অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুশান্ত রায়কে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁকে রবিবারর বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে ।সূত্রের খবর, কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ায় ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত প্রায় ২-১৫ নাগাদ। ওইসময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ সুতপা নস্কর। ওইদিন বিকেল থেকেই বর্ধমান কাটোয়া সড়কে পুন্যার্থীদের প্রচুর ভিড় ছিল। কাটোয়া থেকে গঙ্গাজল নিয়ে হাজার হাজার পুন্যার্থী বর্ধমানেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। প্রচুর বাইক ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছিল। ওই রাতে ভাতার এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটে। তখন সেইসব দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের নিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছিলেন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডাক্তার সুতপা নস্করের বক্তব্য়,রাতে তখন হাসপাতালে দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীদের ভিড় ছিল। তাদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তখন সুশান্ত রায় নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার হাসপাতালে আসেন। পেটে অস্বস্তি ও মাথা ঘুরছিল বলে তিনি জানান। আমি ওই ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। তবুও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার আমার সাথে চুড়ান্ত দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন,আর জি করে কি হয়েছে জানেন তো?জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূবর্ণ গোস্বামী বলেন. আরজিকরে কি হয়েছে আমরা সবাই জানি। ওই ঘটনা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। এই আবহে ভাতারে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার মদ্যপবস্থায় আমাদের এক মহিলা চিকিৎসকের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আগস্ট ১০, ২০২৪
রাজ্য

এবার জঙ্গি-যোগ পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের যুবকের, চেন্নাই থেকে গ্রেফতার এসটিএফের

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার পানাগড় ও নদীয়ার নবদ্বীপ থানার মায়াপুর মোল্লাপাড়া থেকে জঙ্গি যোগে গ্রেফতারের পর চেন্নাই থেকে এদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরেকজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। মঙ্গলকোটের ভালুক গ্রামের বাসিন্দা শেখ আনোয়ারকে বেঙ্গল এসটিএফ-এর দল খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালত এই জঙ্গিকে ১৪ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সূত্র মারফত জানা যায়, ৪ বছর ধরে এই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ ছিল তার। শেখ আনোয়ার কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে একটি লন্ড্রিতে কাজ করতো। আর জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই কাঁকসার পানাগড় ও নবদ্বীপ থেকে যে দুজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল এসটিএফ তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পর চেন্নাইয়ে শেখ আনোয়ারের খোঁজ পায়। বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি দল শেখ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে এবং আনোয়ারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আরও বাড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় এসটিএফ। এই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে শেখ আনোয়ার যুক্ত হয়ে কি কাজ করত সেটাও জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।

জুন ২৯, ২০২৪
রাজনীতি

"রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না", কেন বললেন দিলীপ ঘোষ

যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কি বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক। রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না। অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বরাবর হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করি না, আমি ডিবেট শো তে যাই না। দিলীপ ঘোষ কি রাজনীতি করে এটা বাংলার মানুষ জানে। ওরাও আসুক। দেখা যাবে কাকে দেখতে লোক বেরোয়।তিনি আরও বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজনো যেন গতঃ সঃ পন্থাঃ। উনি নিজে, ওনার পার্টির নেতা, মন্ত্রী, আগে যারা নেতা ছিল, তাদের কমেন্টগুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড। এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এতো কম, এটা আমি জানতাম না।*ময়নাগুড়ি তে ত্রাণ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। কি বলবেন?সরকার ফুটো হয়ে গেছে। তারা ভালো হাঁড়ি দেবে কীভাবে? রাজ্যকে রেকর্ড টাকা দিয়েছি: মোদী। রাজ্য তো বলছে কেন্দ্র টাকা দেয় না।কেন্দ্র কি দিয়েছে সেটা ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এই সরকার সেই টাকা দিয়ে কি করছে সেটাও সিএজি রিপোর্টে পেয়ে যাবেন। ফলে মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এমন ভাব করছে যেন টাকা ওখানে জমা রেখেছে। চাইলেই দিয়ে দেবে আর লুঠ করে খাবে। এই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অধিকার কেউ দেয়নি। বোস বনাম ব্রাত্য। বেশ বিতর্ক দেখা দিয়েছে।মজার ব্যাপার। এরা রাজ্যপালকে আর কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস। আবার ঠেলায় পড়লে সকাল বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়াবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন। অ আ ক খ শেখালেন। তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন। গিয়ে চা খেলেন। আবার কি হল? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনও ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারে না। রোজ ঝগড়া হবে। আবার ঠেলায় পড়লে দৌড়াবেন। এটাই দেখে আসছি আমরা। বাহিনী আরও ৩ মাস?আমরা বিধানসভার সময় একই দাবি জানিয়েছিলাম। ফল পাইনি। গুণ্ডারা ওপেন বেরিয়ে এসে খুন খারাপি করছিল। মানুষের মনে হয়েছে বাহিনী থাকলে কিছু করলেও করতে পারে। বাহিনী ব্যাবহার করে এখানকার পুলিশ। পুলিশের যেমন ভূমিকা বাহিনীর তাই-ই ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসন না চাইলে কি ভাবে হিংসা বন্ধ হবে?আমি না থাকলেই সব বন্ধ: মুখ্যমন্ত্রী!উনি তো এটাও বলেছেন যে সব জায়গায় উনিই মুখ। ওনার মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো মুখ দেখতে চায় না। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও চলাসার ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি। উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কি কি হয়।ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আপত্তি মমতার। কেন এমব বলছেন?উনি বলেছিলেন জিএসটি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন। দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। উনি ওনার সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারেন না। মানুষও আজকাল ওনার কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদী দেবেন। মোদীর গ্যারান্টি এখন দেশে চলছে। কাকে বিয়ে করতে হবে বিজেপি ঠিক করে দেবে নাকি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন।যেটা উনি নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যেটা উনি নিজে সারাজীবন ঠিক করতে পারেননি। সেটা ঠিক করতে হবে তো। বিজেপি কোনও ধর্মীয় বা ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে না। উনি মিথ্যা বলে এতদিন লোক ক্ষেপিয়ে এসেছেন। এখন সেটা ধরা পরে গেছে। নওশাদ এর ইউ টার্ন। ফের বিতর্ক।এই সব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট। গো ফর বিজেপি।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানের নয়া জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার, আরও তিন জেলায় পরিবর্তন

নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চার জেলায় নতুন জেলাশাসক নিয়োগ করল। মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে চিঠি দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের জেলাশাসক পদে চার জনের নাম অনুমোদন করল কমিশন। বৃস্পতিবার ওই চার জেলার জেলাশাসককে পদ থেকে সরায় নির্বাচন কমিশন।২০১০ ব্যাচের আইএএস জয়শী দাশগুপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নতুন জেলাশাসক হলেন। ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক পদে বসানো হয়েছে মৌমিতা গোদারা বসুকে। মৌমিতা ২০০৭ ব্যাচের আইএএস। পূর্ব বর্ধমান জেলায় কে রাধিকা আয়ারের নাম জেলাশাসক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, এবং বীরভূমে শশাঙ্ক শেঠিকে নতুন জেলাশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাধিকা ২০১১ এবং শশাঙ্ক ২০১০ ব্যাচের আইএস। চার নয়া জেলাশাসকই পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এবং তারা প্রত্যকেই একাধিক বার জেলাশাসকের দায়িত্বভার পালন করেছেন। কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন, আগামিকাল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে নবনিযুক্ত জেলাশাসকদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে কমিশনকে জানাতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে।বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। ৪ জনই ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। সেই কারণেই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দেয় পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) আধিকারিকদের সংগঠন। সেই আবেদনে চার জেলার জেলাশাসকের অপসারণের যে কারণ নির্বাচন কমিশন দেখিয়েছেন সেই বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) আধিকারিকদের সংগঠন দাবি করেছে এই অপসারণ বৈষম্যমূলক। তাঁদের বক্তব্য যে কারণ দেখিয়ে ওই চার জেলার জেলাশাসকদের অপসারণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আধিকারিকদের আবেগ, নীতিতে ধাক্কা দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মার্চ ২২, ২০২৪
নিবন্ধ

রাজ্য স্তরে সন্মানিত বর্ধমানের নাট্যদলের নাটক 'ভৌতিক'

নাটকে অবদানের জন্য বিভিন্ন বিভাগে নাট্য একাডেমির তরফে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য নাটকের শিরোপা পেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের ময়না অন্যভবনা নাট্য ও সংস্কৃত চর্চার প্রযোজনা ভৌতিক। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী পুরস্কার ২০২৪- সম্মানে ভূষিত হলো ময়না অন্যভাবনার শত-রজনী মঞ্চায়ন অতিক্রান্ত এই নাটক। ভৌতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু এবং নাটকটির নির্দেশনা দেন প্রখ্যাত নাট্যকার স্বরাজ ঘোষ। ভৌতিক নাটকটি-কে ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কলকাতার শিশির মঞ্চে সম্মানিত করা হলো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর সভাপতি, অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, নাট্য একাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ, সদস্য সচিব দেবকুমার হাজরা, পশ্চিমবঙ্গের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ ভৌমিক প্রমুখ। রাজধানী শহর দিল্লি সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় একাধিক বার এই নাটক মঞ্চস্থ ও সমাদৃত হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক মঞ্চেও পুরস্কৃত হয়েছে ভৌতিক নাটকটি।রেলপথে বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের নবগ্রাম স্টেশনের পাশে এক ছোট্ট গ্রামের নাট্য দল ময়না অন্য ভাবনা কয়েকদিন আগেই মহাসমারোহে শততম দিনের নাটক উপস্থাপনা করলো বর্ধমান শহরের সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। সেদিন তাঁদের প্রযোজনা সত্যিই মুগ্ধ করে দেয় উপস্থিত দর্শকদের। এক গা ছমছম মঞ্চ সজ্জা দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছিল হয়ত বা কোনও গায়ে কাঁটা দেওয়া ভুতের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হবে এদিনের নাটক।ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা স্বরাজ ঘোষের। এই নাটকের উৎস জানতে চাইলে, ভৌতিক নাটকের মূল চরিত্র ভুতের ভূমিকার অভিনেতা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা দূরদর্শনে একটি নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা প্রথম স্থান লাভ করেন। গ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ ছেলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সেই প্রতিযোগিতার বিচারক সৌমিত্র বসু তাঁদের তাঁর লেখা ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য দেন।তাঁদের দলের প্রান ভোমরা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ২০১৭ সালে ময়না অন্য ভাবনা সৃষ্টি হয়। অনেকের আমাদের কাছে দাবী ছিল করলে ভালো কিছু কর, নাহলে বন্ধ করে দাও। সেই ভালো করে করার জেদ থেকেই অন্য ভাবনার যাত্রা শুরু। তিনি জানান ভৌতিক ছাড়াও তাঁদের এই মুহুর্তে তিনটি নাটক চলছে, যথাক্রমে প্রতিঘাত, আযান্ত্রিক, ও কর্মফল। তিনি জানান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলা সহ রাজধানী শহর দিল্লীতেও ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। তিনি আরও জানান, নাটককে ভালোবেসে আমরা নাটক করি। নাটক থেকে কোনও আয় আমরা করিনা। আমদের প্রত্যকেই কিছু না কিছু কাজ করি, সেখান থেকে সময় বার করেই আমাদের নাট্য চর্চা।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal